২০২০ সালে ভুয়ো খবর (Fake News) এবং গুজব (Rumours) ছড়ানোর ঘটনা বৃদ্ধি পেল ২১৪ শতাংশ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো-র পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে যেখানে মোট ৪৮৬টি ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল, ২০২০ সালে সেই সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২৭।
এই পরিসংখ্যানটি সেই সব ঘটনার, যেখানে ভুয়ো খবর ছড়ানো বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এনসিআরবি ২০১৮ সাল থেকে ভুয়ো খবর সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে। ২০২০ সালেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনার বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। ২০১৮ সালের রিপোর্টে ২৮০টি ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনার উল্লেখ ছিল।
এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড-১৯ অতিমারি ছড়িয়ে পড়া, এবং তার ফলে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, অতিমারি ও লকডাউন-জনিত কারণে বহু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ বহু গুণ বাড়িয়েছেন। ভারতে, এবং গোটা দুনিয়াতেই। এর ফলে যে ঘটনা ঘটেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার নাম দিয়েছে ইনফোডেমিক বা ভ্রান্ত তথ্যের অতিমারি। বিশেষতঃ ভাইরাস সংক্রান্ত ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়েছে দুনিয়া জুড়েই।
গত বছর আমাদের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল মার্চ মাসে ভারতে কোভিড-১৯'এ আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাও বাড়তে থাকে। এপ্রিল মাসে তবলিগি জামাত-এর অনুষ্ঠানে মুসলমানদের জমায়েতকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিবৃতির পরিমাণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়ো খবরের সংখ্যাও চরমে পৌঁছোয়।
আরও পড়ুন: বিটকয়েন দুর্নীতি বলে আজিম প্রেমজি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে নিশানা করে ভুয়ো খবর
রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান
ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে ভুয়ো খবরের সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে আছে তেলেঙ্গানা। এ বছর সে রাজ্যে ২৭৩টি ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। তার পর আছে তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশ। সে রাজ্যদুটিতে ছড়ানো ভুয়ো খবরের সংখ্যা যথাক্রমে ১৮৮ ও ১৬৬।
নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, এবং অরুণাচল প্রদেশ ভুয়ো খবরের নিরিখে একেবারে শেষ স্থানে আছে। তিনটি রাজ্যেই গোটা বছরে মাত্র একটি করে ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
রিপোর্টে আরও দেখা যাচ্ছে, দিল্লি (৩০টি ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনা) এবং জম্মু ও কাশ্মীর (২১টি ঘটনা) বাদে দেশের কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: না, আরএসএস সম্পর্কে মন্তব্য করা এই ব্যক্তি তালিবান মুখ্য সচিব নন