সাহিত্যিক সৈয়দ হাসমত জালাল সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ তোলেন হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতনগামী পূর্ব রেলের শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস (Shantiniketan Express) ট্রেন বদলে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত ওই এক্সপ্রেসের অন্দরসজ্জা থেকে উধাও হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) ছবি।
পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি জানিয়ে বলা হয়। কোভিড পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস রদবদল করা হয়েছে। সেই জন্য স্থগিত রয়েছে ট্রেনটি। নতুন ট্রেনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া শাখা।
সৈয়দ হাসমত জালাল তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ''হাওড়া থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতন স্টেশন পর্যন্ত যাতায়ত করা ট্রেনটির নাম ছিল 'শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস'। লকডাউনের পর তার নাম বদলে করে দেওয়া হয়েছে, 'হাওড়া বোলপুর স্পেশাল'। কেন! ভারী অদ্ভূত, ভুতুড়ে ব্যাপার তো! আগে শান্তিনিকেন এক্সপ্রেসের এসি কোচের ভেতরের দরজার দু-পাশে চারটি দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি, রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি, রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি আর শান্তিনিকেতন আশ্রমের দু-একটি ছবি লাগানো থাকত। বছর পাঁচেক থেকে সেগুলো আর দেখা যায় না। আর এখন ট্রেনটির গায়ে লেখা হয়েছে 'দীনদয়ালু কোচ'।
পোস্টটি নিচে দেখুন।
আরও পড়ুন: অমিত শাহ কী রবীন্দ্রনাথের চেয়ারে বসেন? অধীর চৌধুরীর মিথ্যে দাবি
বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন শেয়ার করে রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন অনেকে।
পূর্ব রেলের তরফে অভিযোগ খণ্ডন করে পাল্টা টুইট করে জানানো হয়, "যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে আড়াই বছর আগে আইসিএফ রেক বদলে এলএইচবি রেক করা হয়েছে হাওড়া বোলপুর শান্তিকেতন এক্সপ্রেসের। লকডাউন পরবর্তী সময়ে হাওড়া-বোলপুর শান্তিনিকেতন স্পেশাল স্থগিত করে দেওয়া হয়। বর্তমানে নিয়মিত ট্রেন নেই ওই পথে। হাওড়া শাখা ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে আজকের মধ্যে ঠাকুর (রবীন্দ্রনাথ) সম্পর্কিত সব ছবি ও ফোটো যাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যাইহোক, ট্রেনটির নাম বদলে দীন দয়াল উপাধ্যায় করা হয়নি।"
আইসিএফ হল নীল রঙের কোচ যার পুরো নাম ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি। ১৯৫২ সাল থেকে চেন্নাইয়ে উৎপাদন হচ্ছে এই ধরনের কোচ। আর এলএইচবি হল লাল রঙের জার্মান সংস্থা লিঙ্ক হাফম্যান বুশে কোচ যা কপূরথলায় তৈরি হয়। ২০০০ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে আধুনিক মানের এই কোচ। সুরক্ষার কথা ভাবলে এলএইচবি ব্রকের কর্মক্ষমতা তাৎক্ষনিক। অন্যদিকে আইসিএফ কোচের ব্রেক, এয়ার ব্রেক কিছুটা মান্ধাতা আমলের। ব্রেক কোষলে দূরে গিয়ে থামে এই ট্রেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু মুসলিম প্রসঙ্গে কালিদাস নাগকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠি