Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

এনআরসি-তে যাদের নাম ওঠেনি, অসম পুলিশ কি তাদের পেটাচ্ছে?

বুম দেখে যে, ভিডিওটি ২০১৭ সালে অসমের আমচাঙ জঙ্গল থেকে জবরদখলকারীদের হটানোর।

By - Swasti Chatterjee | 20 Dec 2019 12:40 PM GMT

অসমে ২০১৭ সালের একটি পুলিশি উচ্ছেদ অভিযানের ছবি এই মর্মে শেয়ার করা হচ্ছে যে, রাজ্যের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) যাদের নাম ওঠেনি, পুলিশ তাদের জোর করে উচ্ছেদ করছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ লোকেদের বাড়ি ভেঙে দিয়ে টানতে-টানতে বাড়ি থেকে তাদের বের করে আনছে। পিছনে 'বাঁচাও-বাঁচাও' আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে নারী-পুরুষের, যখন সশস্ত্র পুলিশ তাদের টেনে-হিঁচড়ে বের করছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে এই ভিডিওটি জিইয়ে তোলা হয়েছে।

এনআরসি হল, অসমে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের নাম ও অন্যান্য তথ্যসম্বলিত নথি। এই নথি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করেছে, যার ফলে সারা দেশেই এনআরসি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির ক্যাপশন হলো: "এনআরসি-র তালিকায় নাম না থাকায় এ ভাবে তোলা হচ্ছে অসমে। কাল যদি আপনার নামও তালিকা থেকে বাদ পড়ে, তাহলে আপনার ভাগ্যও এমনই হবে।"

এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ভিডিও ক্লিপটি ২ লক্ষ ২৭ হাজার জন দেখেছে।

Full View

একই ভিডিও একই ক্যাপশন সহ অন্য একটি ফেসবুক পেজ-এ পোস্ট হয়েছে, যেটি ২ লক্ষ ৬০ হাজার জন দেখে ফেলেছে।

Full View

তথ্য যাচাই

বুম দেখেছে, ভিডিওটি আসলে জঙ্গল এলাকা থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করার একটি ছবি, যা এখন ভুল ব্যাখ্যা সহ প্রচার হচ্ছে। আমরা ভিডিওটিকে কয়েকটি মূল ফ্রেমে ভেঙে সেগুলির অনুসন্ধান করে দীর্ঘতর একটি ভিডিওর খোঁজ পাই যেটি এ বছরের মে মাসে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল।

ভিডিওর ওয়াটারমার্ক দেখে আমরা বুঝতে পারি যে, সেটি অসমেরই একটি স্থানীয় সংবাদ-চ্যানেলের (ডি ওয়াই ৩৬৫) সংবাদ বুলেটিন থেকে নেওয়া।

ওই সংবাদ-চ্যানেলেরই ফেসবুক পেজ-এ ভিডিওটি আপলোড হয়েছে অন্য ক্যাপশন দিয়ে: "আমচাঙ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিন কঙ্কন নগরে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেl ইসমাইল হক নামে এক ব্যক্তি একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক জন অফিসারকে আক্রমণ করে। নিরাপত্তা রক্ষীরা সঙ্গে-সঙ্গে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, আর তারপর যা ঘটলো..."

Full View

ঘটনাটি ঘটে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, আসামের আমচাঙ জঙ্গল এলাকায়।

বুম সংবাদ-চ্যানেলটির ডেস্ক-এডিটরের সঙ্গে কথা বললে তিনিও ঘটনাটির কথা সমর্থন করেন।

সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ, অন্তত ৭০০ পরিবারকে সেদিন উচ্ছেদ করা হয়। আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।

দ্য ওয়্যার সংবাদ-ওয়েবসাইটে লেখা হয়: "২০০৪ সালে আমচাঙ সংরক্ষইত বন, দক্ষিণ আমচাঙ সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং খানাপাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলকে একত্র করে কামরূপ জেলায় আমচাঙ অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। অথচ যে এলাকায় পর-পর তিন দিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান চালায় পুলিশ, সেটিকে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের গড়ে দেওয়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বছর জুন মাসে ইসিজেড বলে ঘোষণা করেছে।"

Related Stories